শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ১২:০৭ পিএম
এক বছর তিন মাস বয়সি আপন হোসেন লিমন। কয়েকমাস আগেও শিশুটি ছিল সুস্থ-স্বাভাবিক। খুনসুঁটিতে মেতে থাকতো সারাদিন। বাবা-মাকে ডাকত সে।
কিন্তু সাত মাস আগে হঠাৎ করেই শুরু হয় শ্বসকষ্ট ও বমি। এরপর ধীরে ধীরে কঙ্কালসার হতে থাকে শিশুটির শরীর। হারিয়ে ফেলে বাকশক্তি। খেতে পারে না কোনো কিছুই। ফ্যাকাসে হয়ে পড়েছে চোখ।
অজানা রোগে আক্রান্ত শিশুটিকে দেখে মনে হবে কোনো জীবন্ত লাশ!
ছেলের এমন করুণ অবস্থা দেখে দিনমজুর বাবা স্থানীয় ডাক্তার ও কবিরাজ দেখান। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। ডাক্তার কোনো রোগ ধরতে পারেননি।
কয়েকমাসের ব্যবধানে পাবনার চাটমোহর উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের রাজু হোসেন-লিপি খাতুন দম্পতির একমাত্র ছেলে লিমন লিমন এখন মৃত্যু পথযাত্রী! শীর্ণকায় শরীরে এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে শিশুটি!
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেল, শরীর শুকিয়ে কাঠ শিশুটির। বুক-পিঠ ও পাঁজরের হাড় বেরিয়ে পড়েছে।
লিমনের বাবা-মা জানান, স্থানীয় ডাক্তারের কাছে কয়েকবার নিয়ে গেছেন লিমনকে। কিন্তু রোগ ধরতে পারেননি তারা। চিকিৎসকরা বলেছেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা দেশের বাইরে নিয়ে যেতে হবে লিমনকে। অতিসত্তর রোগ নির্ণয় এবং উন্নত চিকিৎসা দেওয়া না গেলে লিমনকে বাঁচানো সম্ভব নয়।
কিন্তু রাজমিস্ত্রির কাজ করা লিমনের বাবার পক্ষে স্থানীয় ডাক্তার দেখানোই কষ্ট্যসাধ্য, সেখানে ঢাকায় বা বিদেশে নেওয়ার ভাবনা অসম্ভব তাদের কাছে।
এদিকে চিকিৎসা না পেয়ে কঙ্কালসার ছোট্ট লিমন এখন তাবিজের বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে। শুধু কী তাই, তাবিজের বোঝা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে মা লিপি খাতুনকেও।
ছেলেকে নিয়ে লিপি খাতুনের ঠাঁই হয়েছে বাবার বাড়ি একই উপজেলার আনকুটিয়া গ্রামে। এরমধ্যে ডাক্তার ও কবিরাজের কাছে লিমনের চিকিৎসা করাতে গিয়ে লিপি খাতুনকে বিক্রি করতে হয়েছে গলার সোনার চেইন, হাতের চুড়ি এবং কানের দুল! ছেলের চিকিৎসা খরচের জন্য অনেকের কাছেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু কোথাও মেলেনি সহযোগিতা!
অশ্রসিক্ত মা লিপি খাতুন যুগান্তরকে বলেন, ছেলের সুস্থতার জন্য যখন যে যা বলছে সেটাই করছি। অনেকবার কবিরাজের কাছে নিয়ে গেছি। ডাক্তারও রোগ ধরতে পারছে না। চোখের সামনে আমার একমাত্র ছেলে এভাবে কষ্ট পাচ্ছে, কিন্তু কিছুই করতে পারছি না! আমি তো মা! কোনো মা কী পারে সন্তানের মৃত্যু মেনে নিতে? সবার প্রতি অনুরোধ আমার ছেলেকে বাঁচান।
শিশুটির ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, দেশের প্রতিটি বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি করে অফিস রয়েছে। সেখানে দরিদ্র রোগিদের সহযোহিতা করা হয়। এক্ষেত্রে পরিবারটি যদি ওইসব বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে শিশুটিকে ভর্তি করেন বা ডাক্তার দেখান তবে সমাজসেবা দপ্তর থেকে সহযোগিতা করা হবে।
শিশুটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে এই নাম্বারে- ০১৭৩৯৭৪৩৯৯৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
In an interview with UN News, UN Human Rights Council-appointed expert Francesca Albanese, said it was “impossible to describe the pain and suffering that Israelis are going through because of what happened to them...because there are not only those who wer... বিস্তারিত
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে অর্গানিকো কেয়ার নামক একটি কোম্পানির ‘ঘি’ -এর মান ... বিস্তারিত
ব্যবসায়ীদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের দেশ ও মানুষে... বিস্তারিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আলাদা কার্য... বিস্তারিত
এক বছর আগে ঘোষিত দরের চেয়ে ১-২ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্সের ডলার কেনায় ছয়টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্... বিস্তারিত
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন... বিস্তারিত
চোখের ইশারায় খুলে যাবে অ্যাপ, আঙুলে ছুঁয়ে সরাতে হবে স্ক্রিন। মাথা নাড়ালেই হবে অনেক কাজ। প্রযু... বিস্তারিত